বগুড়ায় শীতের সবজি বাজার, লাভের গুড় পিঁপড়েই খায়।

logo

 শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

প্রচ্ছদ আজকের পত্রিকা ই-পেপার জাতীয় দেশ রাজনীতি আন্তর্জাতিক চাকরি মুক্তিযুদ্ধ খেলা মুক্তমত ক্যাম্পাস আমার আমি প্রবাসে বাংলার মুখ পরিবেশ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ফ্যাশন শিল্প-সাহিত্য

  1. /
  2. দেশ

বগুড়ায় শীতের সবজি বাজার, লাভের গুড় পিঁপড়েই খায়  

 বগুড়া প্রতিনিধি ০৪ নভেম্বর, ২০২২

facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
sharethis sharing button
বগুড়ায় শীতের সবজি বাজার, লাভের গুড় পিঁপড়েই খায়  

ফাইল ছবি

শীত নামার আগেই বগুড়ার চাষিরা খেতে সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধলপ্রহর থেকেই ব্যস্ত তারা। এরই মধ্যে বহু সবজি তুলে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। বগুড়ার হাট-বাজারে জমে উঠেছে সবজি বেচাকেনা। আগাম জাতের শীতকালীন সবজিতে ভরপুর উত্তরের সর্ববৃহৎ সবজির হাট মহাস্থান।

তবে চাষিরা জানাচ্ছেন, এবার সবজির ফলন ভালো, ভালো দামও পাচ্ছেন কিন্তু উৎপাদন খরচ বাড়ায় আগের চেয়ে লাভ কম। শিবগঞ্জের বাঁধাকপি চাষি বজলুর রহমান, ফুলকপি চাষি হারুনুর রশি জানান, জমি পরিচর্যায় কৃষি শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে, কীটনাশক, সার বীজের দামও বেড়েছে। এ কারণে উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে অনেক বেশি। তাই বাজারে ভালো দাম পেলেও লাভের পরিমাণ কম। এছাড়া সামনে সবজির আমদানি বেশি হলে দামও কমে যেতে পারে। তখন এখনকার মতো স্বল্প লাভও থাকবে কি-না আশঙ্কা করছেন তারা। বাজারে মূল্য স্থিতিশীল থাকলে হয়তো লোকসান থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারেন বলে মনে করছেন তারা।

দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত থাকে মহাস্থান হাট। বগুড়ার উৎপাদিত সবজি টাটকা ও মানসম্মত। এ কারণে গোটা দেশেই রয়েছে চাহিদা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে বগুড়ার সবজি।

সরেজমিনে শুক্রবার মহাস্থান হাটে দেখা গেছে, ফুলকপি, পেঁপে, শিম, বাঁধাকপি, বেগুন, মুলা, লাউ, পাতা পেঁয়াজ, করলাসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি কেনাবেচায় সরগরম উত্তরের বৃহৎ পাইকারি হাট। স্থানীয় চাষির এসেছেন তাদের সবজি নিয়ে। ক্রেতাও রয়েছেন বিভিন্ন এলাকার। অনেকেই এখান থেকে ক্রয় করে শহরের বাজার আবার কেউ পাশের হাটে আর কেউ কেউ ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনিসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন। মুলার আমদানি বেশি বলে দাম কিছুটা কম, মুলা প্রতি মণ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। ফুলকপি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ও লাউ প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি লাউ প্রকারভেদে ১২ থেকে ২০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা কেজি, করলা ৩৫ থেকে ৫০ টাকা এবং পাতা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিদিন ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে সবজি পাঠাচ্ছে পাইকারি ক্রেতারা। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীঈদুল হাসান ও রাজু আহম্মেদ জানান, বগুড়ার মহাস্থান হাটে সারা বছর সবজি পাওয়া যায়। এখানকার সবজি মানসম্মত, তাই সবখানেই চাহিদা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সবজি ভাণ্ডারখ্যাত বগুড়ায় বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের শাকসহ ৪২ প্রকারের সবজি উৎপাদন করেন চাষিরা। সারা বছর ২০ হাজার হেক্টর জমিতে সাড়ে ৪ লাখ টন সবজি চাষ হয়ে থাকে। শীত মৌসুমে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ ৫ হাজার টন। ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত শীতকালীন সবজি চাষাবাদ ও হাটে বাজারে পাওয়া যায়। সদর, শিবগঞ্জ, সারিয়াকান্দির চরাঞ্চল, গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ হয়ে থাকে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) মো. এনামুল হক জানান, বগুড়া জেলায় গত কয়েক বছর ধরে সবজি উৎপাদনের পরিমাণ বেড়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকের পাশে থেকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে অবগত করে কৃষকদের আরো বেশি উৎপাদনে সহায়তা করছেন। সবজি চাষে এবারও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *