পত্নীতলায় একই ব্যক্তি দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
শাকিল হোসেন পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর পত্নীতলায় প্রভাব খাঁটিয়ে মো: বেলাল হোসেন নামক একই ব্যক্তি দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার ঝলকাহার এবতেদায়ী মাদ্রাসায় এবতেদায়ী-কারী পদে ০৪ ডিসেম্বর ২০১১ সাল থেকে চাকরি করছেন। এছাড়াও তিনি একই উপজেলার মধুইল ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় অফিস সহকারি কাম অপারেটর পদে ২০ মার্চ ২০২৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের জারি করা এমপিও নীতিমালার ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বেতন ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির জন্য শিক্ষক/কর্মচারীরা একই সঙ্গে একাধিক স্থানে চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোন পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেনা।
মধুইল ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: মহশিন আলী বলেন, বেলাল হোসেন আমার মধুইল ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় অফিস সহকারি কাম অপারেটর পদে চাকরি করছেন। তবে তিনি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন কিনা তা আমার জানা নেই।
ঝলকাহার এবতেদায়ী মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান ( প্রধান শিক্ষক ) মো: আল মাহমুদ বলেন, বেলাল হোসেন আমার প্রতিষ্ঠানে এবতেদায়ী কারি পদে চাকরী করছেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেন না। তবে তিনি অন্য কোথাও চাকরি করেন কিনা তা আমার জানা নেই।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বলেন, আমি প্রথমে ঝলকাহার এবতেদায়ী মাদ্রাসায় নিয়োগের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়ে নিয়োগ নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে মধুইল ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় আমার চাকরি হয়।
তবে তিনি ঝলকাহার এবতেদায়ি মাদ্রাসা থেকে বেতন ভাতা উত্তোলনের কথা অস্বিকার করেন। মধুইল ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগের আগে বা পরে ঝলকাহার এবতেদায়ী মাদ্রাসায় পদত্যাগ করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঝলকাহার এবতেদায়ী মাদ্রাসায় এখনো পদত্যাগ করা হয়নি।
এবিষয়ে মধুইল ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা ও ঝলকাহার এবতেদায়ী মাদ্রাসার সভাপতি ও পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা: পপি খাতুন বলেন, আপনাদের মাধ্যমে এই বিষয়টি আমি অবগত হলাম। তদন্ত পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।