পিরোজপুরের নেছারাবাদে, সংখ্যালঘু কার্ডে জমি দখলের পাঁয়তারা।
পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদের উত্তর কৌড়িখাড়ায় আঃ হালিমের পরিবারের জমিতে বালু ভরাটের কার্যক্রম শুরু করলে, জোর পূর্বক দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বজিৎ ঘোষ।জমির মালিক ইমরান ও তার পরিবারের ৪ সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা ৮ জনের নামে মামলা দায়ের।
জায়গার মালিক আঃ হালিমের ছেলে মোঃ এমরান, বিগত ২০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে। এই সম্পত্তি নিয়ে বিশ্বজিৎ ঘোষ গত ১২/১০/২০২২ ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি স্মারক নং ১৪৭২(২) মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেছারাবাদ, পিরোজপুর, তদন্তপুর পূর্বক রিপোর্ট দেয়ার জন্য আদেশ প্রদান করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মোঃ এনায়েত হোসেন এর মাধ্যমে যাচাই বাছাই এবং সমস্ত কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে সঠিক প্রতিবেদন দাখিল করেন আঃ হালিম গংদের পক্ষে।
তদন্তপূর্বক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, উপযুক্ত বিষয়ের আলোকে মহোদয় কে অবগত করানো যাচ্ছে যে, আদিষ্ট হয়ে এম, পি ৮২৮/২০২২(নেছা) নং মোকাদ্দমা সরজমিন তদন্ত করি। তদন্তকালে বাদী বিবাদীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকালে জানা যায় যে, ১২নং কৌড়িখাড়া মৌজা বি এস ৪৬৭নং দাগে মোট জমি ০’২০৩৬ একর যার ০’১০৩৬ একর ২০২নং খতিয়ানে আঃ হাকিম নামে ও ০’১০ একর জমি ১৭৪ নং খতিয়ানের রেকর্ড আঃ হালিমের নামে। আঃ হালিমের নামীয় অংশ হতে ০’০৯ একর জমি জমা খারিজ হয়ে মোহাম্মদ হান্নান মিয়ার নামে ৯০৬ নং খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয় যা উল্লেখিত ওই রেকর্ডীয় মালিক গণের দখলিও ভূমি। ইহাতে বাদি বিশ্বজিৎ এর কোন স্বত্ব ও দখল নাই। ৪৬৭ দাগই বাদী ও বিবাদীর দেখানো বিরোধীয় ও ভূমি। অত্র মোকাদ্দমায় উল্লেখিত ৪৬৭/৪৯০ নং দাগে বিবাদীগণের কোন স্বত্ব, দখল কিংবা বিরোধ নাই এবং তাহা বাদির দেখানো বিরোধীয় ৪৬৮ নং দাগ হতে পূর্ব দিকে এক দাগ পরে নদীর পারে অবস্থিত। অর্থাৎ ৪৬৭ নং দাগে বাদীর তখন ও স্বত্ব নাই এবং ৪৬৭/৪৯০ নং দাগে বিবাদী গনের কোন স্বত্ব ও দখল নাই। ৪৬৮/৪৯০নং কোন বিরোধ ও নাই।
কিন্তু বাধ সাধেন বিশ্বজিৎ ঘোষের পরিবার। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আঃ হালিমের ছেলেরা উক্ত জায়গায় বালু ভরাট করার সময় বিশ্বজিৎ ঘোষ তাহার লোকজন নিয়ে বাধা প্রদান করেন। উক্ত জায়গা দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় স্থানীয় লোকজন ময়লা আবর্জনা, কাঁচ ভাঙ্গা, বাঁশ গাছের গোড়া ফেলেয়া রাখে।
বালু ভরাটের সময় ইমরান(আইনত জমির মালিক) নেট দিয়ে বেড়া দেয়, সেই মূহুর্তে বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং তার লোকজনের সাথে ইমরানের তর্ক বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে বাশের গোড়ালিতে বিশ্বজিৎ ঘোষের পক্ষের উমা রানির মাথা কেটে যায়। স্থানীয়রা আরোও বলেন, বিশ্বজিৎ ঘোষের সাথে আশেপাশের মানুষের সাথে একটার পর একটা ঝামেলা লেগেই আছে।
ইমরান আরোও জানান, এই সম্পত্তি আমাদের। কিন্তু বিশ্বজিৎ ঘোষ, তার বোন উমা রানি ঘোষ, ও তার ছেলে প্রশান্তসহ কয়েক জন লোক লাঠি সোটা নিয়ে আমার দিকে দেয়ে আসে এবং তর্ক বিতর্ক হয় এক পর্যায় উত্তেজিত হয়ে আমার উপর হামলা করে । বিশ্বজিৎ তার বোন এবং তার ছেলে প্রশান্ত ও মেয়ে শান্ত এরা সবাই আমার ও আমার ভাই লোকমানের উপরে ঝাপিয়ে পরে। একপর্যায়ে উমা বাশ গাছের মোথার উপরে পরে যায়।এতে তার কপালে আঘাত লাগে। আমাকে এবং আমার পরিবারকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে।